পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মধ্যবিত্ত

ছবি
দোকান ফিরতি পথে দিদিকে চুপি চুপি জিজ্ঞেস করলাম- "হ্যাঁরে দিদি! আমরা কি সেই গরীব মানুষ? ওই যে রে! যাদের পয়সা থাকে না।" দিদি বলল -"না আমরা ঠিক তা নয়, ওই মধ্যবিত্ত বলে না! সেরকম।" --"মানে?.." --"মানে ঐ তো! গরীব না বড়োলোক ও না, হয় না!" --"ও আমরা গরীব না, পয়সা আছে । কিন্তু তু্ই যে সব পয়সা না দিয়ে দিয়ে কিনলি?" --"ওই তো! মধ্যবিত্ত বলেই ধার দিলো। জানে পয়সা দিয়ে দেবো।" --"ও গরীব হলে দিতো না, না!" --"হ্যাঁ দেয় কখনো কখনো। গরিবদের দান দেয়। সে ফেরত দিতে হয় না।" --"বাহ্! তাহলে তো গরীব হলেই ভালো!" --"না, গরীব ইচ্ছে করে হতে নেই।"  কেমন জটিল লাগলো। জটিলতা আরও বাড়লো।  মুদির দোকানে দিদি আমি দাঁড়িয়ে। আরো কিছু লোক ছিলো। দোকানদার দিদি'কে বার বার বলছিলো- "কি নেবে খুকু বলো ?" দিদি বললো- "তুমি ওদের দিয়ে সেরে নাও, তারপর নিচ্ছি।" সবাই চলে গেলে দিদি জিনিস নিলো। ফেরার পথে বললাম- "দিদি প্রথমে নিচ্ছিলিস না কেনো রে?" দিদি বললো- "ধারে নেবো না! লজ্জা লাগছিলো। ওরা সব দাঁড়...

শ্রাদ্ধবাড়ি মানব সমাজের এক কলঙ্কিত অধ্যায়

ছবি
যিনি  মারা  গেলেন  তিনি  যা যা ভালোবাসতেন সে সমস্ত  ষোড়শোপচারে রান্না  হয় । সকলেই  কব্জি ডুবিয়ে  খান । "দাদা  আর দুটো ইলিশ পাতুরি  দিন  তো  ! অপূর্ব  হয়েছে । বহু দিন  পর এমন রান্না  খেলাম  অথবা  আহা ,সন্দেশটা অসাধারণ  !! কোন  দোকানের  ?  দাদা  #fishfry  টা #repeat করতে  বলুন না " ইত্যাদি  ইত্যাদি ।   আমার  তো মনে  হয়  বৃদ্ধ কেউ  হলেও  তাঁর  সন্তান  ,স্বামী  তাঁদের  কি আনন্দ  করার  মতো  মানসিকতা  থাকে ? অনেক দিন  অসুস্থ  থাকলে  অথবা  এমন কোনও  অসুখ হলে  যেটি মানুষটিকে  মৃত্যুর  দিকেই  টেনে  নিয়ে  যাবে  , আমাদের মনে  হয়  এভাবে  বাঁচার চেয়ে  মৃত্যু  শ্রেয় । মুখে  বললে ও প্রিয়জনের  বিয়োগ  ব্যথা  একটুও  কি বাজেনা সদ্য সদ্য  ?  সময়  সব কিছু  ভোলায় ...

কাপড় খুলে শরীরে দুবাটি লঙ্কাবাঁটা ঢোকানো হয়েছিল, না না নেহেরু -গান্ধী মোটেই নয়, ওনারা তো ব্রিটিশ পরিবারের অনুগত।ইনি #ননীবালা দেবী।।

ছবি
একজন #ননীবালা দেবী ছিলেন আমাদের বাংলায়। পুরোটা পড়বেন। এই ইতিহাস আমাদের প্রজন্মের জানা উচিত। কাপড় খুলে শরীরে দুবাটি লঙ্কাবাঁটা ঢোকানো হয়েছিল, না না নেহেরু -গান্ধী মোটেই নয়, ওনারা তো ব্রিটিশ পরিবারের অনুগত।ইনি #ননীবালা দেবী।। বাংলার প্রথম মহিলা রাজবন্দী ননীবালা দেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৮৮ সালে হাওড়া জেলার বালিতে। বাবা সূর্যকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মা গিরিবালা দেবী। সেই সময়ের সামাজিক রীতি মেনে ১৮৯৯ সালে মাত্র এগার বছর বয়সে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় ১৯০৪ সালে তাঁর স্বামী মারা যান। তাঁর বয়স তখন মাত্র ষোল। এরপর তিনি তাঁর বাবার কাছেই ফিরে আসেন। ১৯১৪ সালে বেধেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই সময় ভারতে যুগান্তর দলের বিপ্লবীরা জার্মানির কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভারতব্যাপী একটা বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে, স্বাধীনতা আনবার রাস্তা পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছিলেন। বাঘা যতীন ও রাসবিহারী বসুর মিলিত চেষ্টায় দ্বিতীয় সিপাহি বিদ্রোহের (২১ফেব্রুয়ারি, ১৯১৫) পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, রাসবিহারী বসু ভারত ত্যাগ করেন। ইংরেজ সরকার ভারত-জা...